বাংলাদেশে নাস্তিকতা বা সমকামিতা উভয়কেই অত্যন্ত নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের ভয়ংকর পরিবেশে কিভাবে সমকামী হিসেবে বড় হয়েছি তা সব সময় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ পেনাল কোড 377 এর অধীনে সমকামিতা একটি দণ্ডনীয় কাজ। বাংলাদেশের আইনে মানুষের এই সহজাত প্রবৃত্তিকে অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক যেমন একই দণ্ডবিধির 295 বা 295 তে ধর্মের সমালোচনা করা একটি অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। .
কিন্তু এমন অবস্থা আর কতদিন? এটা এক ধরনের ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ যা মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও ভালোবাসাকে অপরাধ করে বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম দেশে অভ্যাস করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘের এক প্রস্তাবে বাংলাদেশ সমকামীদের শাস্তির জন্য মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে এই প্রতিযোগিতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সভ্য দেশ এবং ভারতের মতো একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আর এই ধর্ম ও সুডোর প্রভাবে সারা বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর মিথ্যা ধর্মের চাদর। এখানে ধর্মপ্রাণ মানুষ চুরি করে, মসজিদ থেকে জুতা চুরি করে, ঘুষ দেয়, ধর্ষণ করে, মন্দির ভাঙে, ভাস্কর্য ভাঙ্গে, আবার তারা সমকামীদের কোণঠাসা করে ফেলেছে।
মুসলিম ধর্মীয় নেতা যখন মাত্র 6 বছর বয়সী আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন, তখন তিনি এতে লজ্জা পাননি। একজন ছয় বছরের মেয়েকে যৌনকর্মী হিসেবে রাখাটা মুহম্মদ দেখেননি, কিন্তু তারা একই লিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি যৌন আকর্ষণকে সমস্যা হিসেবে দেখেন, কিন্তু ইসলাম ধর্মে এটা আছে নবী লুথের মুসলিম ছিল সমকামী।
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিনই মসজিদের ইমামের হাতে ধর্ষিত হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্রী। আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। কিছুদিন আগে পত্রিকায় জানা যায়-
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় আরবি পড়তে গিয়ে এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মানিক চান (২১) নামে এক ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার পারটাঙ্গী কাঠগড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমাম মানিক চান পারটাঙ্গী কাঠগড়া মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, কাঠগড়ার বাসিন্দা ১১ বছরের কিশোরী তার কাছে আরবি শিখতে যায়। একপর্যায়ে ইমাম মানিক চান তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষিতা শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে পৌঁছে পরে তার বাবা-মাকে জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করলে সোমবার রাতে ইমামকে আটক করে পুলিশ। থানার সেকেন্ড অফিসার রাশেদুল হাসান জানান, শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মুক্তাগাছা থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মানিক চাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু এদেশে এই মোল্লারা আমাদের সমকামীদের পথ রুদ্ধ করে আমাদেরকে পাপী, অন্যায়কারী, ব্যভিচারী বলে আখ্যায়িত করেছে, অথচ এই মুখোশধারী ইসলামপন্থীরা সারাদিন ইসলামের কথা বলে রাতের বেলা নিষ্পাপ শিশু ও মেয়েদের ধর্ষণ করে। কিন্তু কেন তারা তা করবে না? তাদের গুরু মোহাম্মদ নিজেই ৬ বছরের এক শিশুকে বিয়ে করে ধর্ষণ করেন। তাহলে তাদের শিষ্যরা হবে না কেন?
আসলে সময়ের দাবী ৩৭৭ ও ৩৯৫ ও ২৯৫/এ ধারা প্রত্যাহার করা হোক। ধর্মের সমালোচনা করা যাবে না, তোমার ভালোবাসার কথা বলা যাবে না, কথা বলা উচিত। একজন সমকামী হিসেবে আমি আমার ন্যায্যতা দাবি করতে পারি। আমি বিপরীত লিঙ্গের কাউকে পছন্দ করি না। আমি মহিলাদের সাথে সেক্স করতে পছন্দ করি না। তো, আমি কি করব? আমি কি যৌন মিলন ছাড়া বাঁচব নাকি দেশে লুকিয়ে থাকব? নাকি আমার মত অন্য মানুষ? এভাবে বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। নিজের ভূমিতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে বেঁচে থাকা কতটা বেদনাদায়ক হতে পারে?
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই বুর্জোয়া সমাজের বিকাশকে ভেঙে দিতে হবে। ধর্ম এবং এর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা মুছে ফেলা উচিত। অনেকে বলেন, সমকামিতা নিষিদ্ধ শুধু ধর্মীয় নয়, প্রগতিশীলরাও এর বিরুদ্ধে। তাই ধর্মীয় যুক্তিই একমাত্র কারণ নয়।
আসলে এই কথাগুলো অনেক অংশে সত্য, যদিও সংখ্যা কম। আমি বিশ্বাস করি যখন এই ধর্মের আড়ালগুলো একবার ছাড়ানো যাবে, মোল্লা টাইপের প্রগতিশীলদেরও একইভাবে মোকাবিলা করা যাবে। আর সেই বিশ্বাসেই বলি সমকামিতা নিয়ে উন্নীত হওয়া এখন সময়ের দাবি। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের ভালোবাসা থেকে সকল আইনি বাধা দূর করুক।
13 Responses
তসলিমার সব লেখা আপনি ভালোমতো পড়েছেন বলে তো মনে হয় না। তসলিমা নাসরিনের লেখা আলোচনার চেয়ে সমালোচিতই হয়েছে বেশি।
এ জাতি আসাধারন একজন লেখিকাকে হারালো। এরকম রত্ন ধারন করার ক্ষমতাই হয়ত এদেশের নেই।
আপনিতো দেখি তসলিমা নাসরিনের নামে দুই ঢোক বেশি জল খাচ্ছেন। তা এত যে নমঃ নমঃ করছেন, কি আছে এই মহিলার লেখায় ? যৌনতা ছাড়া তেমন উল্লখযোগ্য কোনো বিষয় নিয়ে তো লিখতে দেখি না তাকে।
তসলিমারে মহামানবী প্রমাণ করার সব মশলাই আসে আপনার লেখায়। এখন শুধু তসলিমার মুর্তি বানাইয়া পূজা করা বাকি। শুরু কইরা দেন ভাই।
তুই সব কিছুতে মুসলমানদের দোষ ধরার তালে থাকস।মানুষরে উস্কানি দিতে ওস্তাদ তোরা। এইজন্যই কোপানি খাস।
ইসলাম রক্ষার জন্য জিহাদ করা জায়েজ। তোর মত নাস্তিক,খ্রিস্টানের বাচ্চা জিহাদের কি বুঝবি?
ভাই আপনি এইসব লেখে কি আনন্দ পান। মানুষকে কষ্ট দেন কেন?
তুই একতা নাস্তিকের বাচ্চা। জারজের বাচ্চা। তোর উপরত আল্লাহর গজব পড়বে। অপেক্ষা কর। দেখবি সব।
হাহাহা, এইসব সারকাজম মোল্লারা বুঝবে বলে তো মনে হয় না।
তোকে পাইলে আমি কিরিচ দিয়ে টুকরা টুকরা কুরতাম ইব্লিসের বাচ্চা।
ধর্ম কখনও অন্যায়কে সমর্থন করে না। কোনো ধর্মই করে না। আপনারা সবসময় যে কোনো অন্যায়ের দোষ ধর্মের ঘাড়ে চাপান। এটা ঠিক নয়।
ভাই আপনারা পারেনও। জোর করে এনে ইসলাম ধর্মটাকেই ধরেন। কেন ভাই এমন করেন? কি সমস্যা আপনাদের মত নাস্তিকদের
শুয়োরের বাচ্চা, একবার কাছে পাই তোকে