পেডোফাইল জামায়েত আমির, ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র শিবির হটাও, বাংলাদেশ বাঁচাও  

১৯৭২ সালের সংবিধান যখন লেখা হয়, তখন সেই সংবিধানে রাষ্ট্রপতির আদেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার অর্থ ছিল জামাত-শিবির ছাড়া সকল ধরণের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশে চিরতরে নিষিদ্ধ করা। ১৯৭৩ সালের ‘দালাল আইন’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছিল । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য অই সময় জাতির জনক বিচারের জন্য সারা দেশে ৭২টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন। এই দালাল আইনের অধীনে, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সারা দেশে জামায়াত, মুসলিম লীগ এবং অন্যান্য সমমনা দলের প্রায় ৩৭,০০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখন এই ট্রাইব্যুনালে ৭৫২ জনের বিচার চলছিল। জিয়া দালাল আইনের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত সকলকে মুক্তি দেন এবং ‘দালাল আইন’ বাতিলও করেন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ক্ষমতা দখলের পর জিয়া যে প্রথম অপকর্মটি করেছিলেন তা হল ১৯৭৬ সালে সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা। একই সাথে, তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জামায়াত সহ সকল ধর্মীয় দলকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের অধিকার প্রদান করে আরেকটি ঘোষণা জারি করেন। আরও ভয়াবহ বিষয় ছিল, ১৯৭১ সালের আরেকজন বড় দালাল শাহ আজিজ, যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে গিয়েছিলেন, তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সেই সময় সমকামী নিধন এবং শরিয়া আইনদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে ব্যাপক ভাবে সমকামী নিধন এবং অত্যাচার শুরু হতে থাকে। কিন্তু যে ইসলামিক নেতারা পেডোফাইল ছিল, ধর্ষক ছিল তারাই ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে থাকে। আর সেই সময় এতিমখানাগুল থেকে ছোটছোট শিশুদের ধরে এনে ইসলামিক নেতাদের এবং ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে পাঠানো শুরু হতে থাকে। অল্পবয়সী মেয়ে এবং ছেলে ৯ থেকে ১৬ বছরের শিশু, বালক বালিকাদের উপর চালান অমানশিক নির্যাতন। এতিমখানা ছিল তাদের নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ টার্গেট। কারন এতিম বাচ্চাদের মা বাবা থাকে না। আর এরই সুযোগ নিয়ে এধরনের জঘন্য অপকর্ম গুলো শুরু হয়েছিলো যা আজও পর্যন্ত বন্ধ হয়নি। কোন বাচ্চারা আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে,যারা প্রতবাদ করছে তাদের মেরে ফেলছে এবং তাদের লাশ গুম করে দিচ্ছে কারন তাদের খোঁজ নেবার মতো এই পৃথিবীতে কেউ নেই। এই অপরাদচক্রের এরকম বহু ঘটনা পত্রিকাতে এলে তদন্ত আর হয় না। এই অন্যায়গুলোর অপকর্মগুলোর বিচার হয় না। যে ঘটনাকে সামনে আনে সে গুম হয় নাহলে খুন হয়। ঘটনার তদন্ত করে বিচারতো দুরে থাক পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত থামিয়ে দেন কারন প্রমাণ লোপাট হয়ে যায়। কারন এতিমখানার পরিচালকরাই এই অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত। বর্তমান জামায়েত আমির একজন পেডোফাইল তার প্রমাণ আপনারা হাতে নাতে পেয়েছেন। এই নেতা বাচ্চাদের ধরে প্রকাশ্যে তাদের ঠোঁটের উপড়ে চুমু খায়। ছোটো মেয়েদের আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করে। এসকল কিছু আপনারা দেখেছেন এবং দেখছেন। প্রতিবাদ করলেও এই দেশে বিচার হচ্ছে না,কারন এই লোক জামায়েত ইসলামের আমির। এর অনেক ক্ষমতা।

আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, জামায়াতের আমির গোলাম আযম, যিনি লন্ডনে পলাতক ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির জন্য অনুদান সংগ্রহ করছিলেন, তাকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। গোলাম আযম জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে, তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে এ দেশে জামায়াতের আমির হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এবং এই অপকর্মের সিন্ডিকেট নেতা হয়ে ক্ষমতা ভাগ করে দেন। নিজের কাছের দালালদের নিয়ে শুরু হয় তার অপরাধের সাম্রাজ্য। দালালরা হয়ে ওঠে মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার ধর্ম শিক্ষক আর পরিচালক মণ্ডলী। ধর্মের আড়ালে চলে সমকামিতা এবং ধর্ষণ। কিন্তু প্রকাশ্যে এলে নাম পালটে হয়ে যায় সমকাম নিধন অভিযান।

এই জামায়েত ইসলামের ঘাতক দুর্ধর্ষ ইসলামপন্থী দুই দল  নতুন দুই নাম নিয়ে ইসলামী ছাত্র সংঘ এবং ইসলামী ছাত্র শিবির দুই ঘাতক চরমপন্থি আত্মপ্রকাশ করলো। এই দুই দলের প্রধান আস্তানা ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

এই ঘাতক দল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অলিখিতভাবে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। কি নির্মম পরিহাস, ছাত্রদলের সদস্যরা, যারা তাদের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিএনপির ছাত্র সংগঠন, এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের দ্বারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগের সদস্য এবং উপাচার্যদের বাসভবন তাদের দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। আর ছিল সমকামী নিধন, অনাথালয়ের ধর্ষণ এবং অপরাধের তালিকা।  যায় মুখ্য অপরাধী হিসেবে জামায়েত এবং ইসলামী নেতাদের নামের  তালিকা প্রকাশিত হয়েছিলো।

১৯৯২ সালে শহীদ মা জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলন শুরু হয়। এই অপরাধে বেগম জিয়ার সরকার জাহানারা ইমাম এবং আরও ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করে। জাহানারা ইমাম এই মামলা মাথায় রেখেই মারা যান। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া জামায়াতের সহায়তায় সরকার গঠন করলেও, কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া ছাড়া তাদের প্রতি খুব বেশি ছাড় দেননি। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর, তিনি এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যে এমনকি দুই জামায়াত নেতাকেও মন্ত্রিসভায় স্থান দেন।

২০০৬ সালের নির্বাচনের আগে ঘোষণা করা হয়েছিল যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে, যা তারা করতে পেরেছিল। সেই বিচার চলাকালীন বিচার বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করে। এক পর্যায়ে, নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। সর্বশেষ স্বাধীন বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, যা দীর্ঘদিনের জনমতের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়। বিএনপি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ, যেমনটি তাদের দলের মহাসচিব একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে প্রকাশ করেছেন।

বি এন পি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এরা জামাতকে নিয়েই আবার ক্ষমতায় আসবে। আর এবনার জামাতের সাথে হেফাজতে ইসলাম ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় আসতে দেয়াই যাবে না। যদি এরা ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশকে আর রক্ষা করা যাবে না। এরা ভহয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। যদি তাই হত, তাহলে নাৎসি দলকে জার্মানি বা অন্যান্য পশ্চিমা দেশে আবার রাজনীতি করার অনুমতি দেওয়া হত। জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ হতেই হবে, সকল ইসলামিক দলের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কারন এরা ক্ষমতায়  থাকলে বাংলাদেশে সমকামিতা নিধন চলবেই, এসকল নেতারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। এরা পেডোফাইল এবং ধর্ষক হয়ে অপরাদ করছে। এবং ৩৭৭ ধারা বাতিল কোনোদিনও হবে না, যারা এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ইতিহাসে বিশ্বাস করেন আপনারা বুঝতে পারছেন না কি ভয়ঙ্কর বিপদ আসতে চলেছে যদি এরা ক্ষমতা দখল করে।

পরিশেষে, এটা বলতেই হবে যে জামাতকে নিষিদ্ধ করার অর্থ তাদের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা।  কোনভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। সমকাম নিধন বন্ধে কোন ধরমভহিত্তিক রাজনৈতিক দলকেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেই না যদি বাংলাদেশকে বাঁচাতে চান। সাবধান হন।

35 Responses

  1. সাহস অনেক বারসে তোড়

  2. তোড় কপালে খুব খারাপি আছে। দেশে আয় গলা কাটব তোর।

  3. আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে নিয়ে বাজে কথা বলার সাহস কোত্থেকে পেলি চুতমারানির পোলা? সে পেডফাইল হোক আর তোর পুটকি মারুক, তিনি আমাদের নেতা। উনাকে নিয়ে আরেকটা বাজে মন্তব্য করলে তোকে একেবারে জবাই করে কুত্তারে খাওয়ায় দিবো ইনশাল্লাহ।

  4. এসব লিখে কী প্রমাণ করতে চান আপনি?

  5. খানকির পোলা আমি তরে কপামু। কাফেরের দেশে গিয়া কাফের হইস?

  6. তুই একতা জারজের বাচ্চা। মৃত্যু তরে ডাকে।

  7. আপনি খুব ভালো লিখেছেন। ১০০% সত্য কথা।

  8. দেশটা মৌলবাদীতে ভরে গেছে। এরা আমাদেরকে অতিশ্ত করে দিয়েছে।

  9. জামায়াতের আমির কে নিয়ে এগুলো বলার ফলাফল কিন্তু ভালো হবে না। দেশ এখন আমাদের জামায়াতের হাতে, তোদের আম্মা কিন্তু পলাইছে, এইবার তোড়ে দেশে দেখা মাত্র পায়ের রগ কেটে তোর রক্ত দিয়ে গোছল করব ইনশাল্লাহ।

  10. তোর আখেরি বিদায় কিন্তু একবারই হবে। চাপ নিস না। ভালো কইরা চাপাতি ধার দিসি। টের পাবি না কিসু।

  11. খুন করে তরে মারব। ভাবিস না। খালি দেশে আয় তুই। তোড় লাশ কেউ পাবে না।

  12. খুব ভালো বিশ্লেষণ করেছেন।

  13. আপনি কেন এমন নেতিবাচক বিষয় নিয়ে বারবার লেখেন?

  14. আপনার লেখার গুণে মুগ্ধ।

  15. ভাই সমকাম নিধন আর পেডফাইলরা এখনও আমাদের সমাজে আমাদের আশেপাশেই আছে। এখনও এই নিধন হচ্ছে, দেশের বাইরে গিয়ে আপনারা বাইছা গেছেন। আমরা ভাই আতঙ্কে দিন কাটাই। কবে আমাদেরও জবাই করে ফেলে কোন ঠিক নাই। আপনাদের লেখা দেখে সাহস পাই কিন্তু বাস্তব আতংক কিন্তু ভাই রয়েই যায়।

  16. কিছু গঠনমূলক লিখলে ভালো হতো।

  17. আপনার লেখার মান এত খারাপ কেন?

  18. আপনি সত্যিই ভালো লেখক।

  19. সমকামিতা নিষিদ্ধ। ইসলামের বাংলাদেশে কাফেরের জায়গা নাই। লন্ডনের সবাই কাফের আর তুই বড় কাফের। ইসলাম ত্যাগ করছিস।জাহান্নামে যাবি তুই।

  20. সমকাম নিধনের কথা মনে আছে ভাই, যেভাবে অনার কিলিং হইছে বাংলাদেশে, সব মনে আছে ভাই। কিন্তু বাংলাদেশ কখনো তা শিকার করে না, আফসোস।

  21. কুত্তার বাচ্চা, আমাদের জামায়াতের আমির নিয়ে লিখতে লজ্জা করে না ? নাকি তুইও ছুপা আওয়ামীলীগ? সাহস থাকলে দেশে আয় একবার।

  22. সমকামিতা নিয়ে কোন কথা হবে না।

  23. আপনি কি সমকামী? কাফের হয়ে গেলেন। ইসলামে কাফের হত্যা করা জায়েজ।

  24. এই যে জামাতের নেতা নিয়ে বাজে কমেন্ট করছেন এগুলা তো আওয়ামীলীগের মানুষরা করত। জামাতই এখন ক্ষমতায়। ভালোয় ভালোয় বলছি, এসব উল্টাপাল্টা লেখালেখি বন্ধ করে দেন। নাহয় পরিণাম কিন্তু ভয়াবহ হবে।

  25. এসমস্ত ফালতু জিনিস নিয়ে লিখে কি হবে?

  26. সমকামীরা সমাজের নিকৃষ্ট কিট । তুই কাফের। কাফেরের দেশে থেকে কাফের হয়ে গাছিশ।

  27. সত্যিই প্রেরণাদায়ী লেখা।

  28. এত কিছুর মধ্যে এসব নিয়ে লেখার দরকার কী? কাফের তুই।

  29. খুব ভালো একটি দৃষ্টিভঙ্গি।

  30. আপনি কি নিজেই বুঝে লিখেন?

  31. ইসলাম নিয়ে বাজে মন্তব্য না করাই শ্রেয়। জবাই করা হবে তোকে। জবাই করে তোড় মাথা আলাদা করে দেয়া হবে ইনশাল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *