বিশ্বাসের মুখোশঃ ধর্মীয় কপটতা এবং আর্থিক শোষণের মুখোশ

সৈয়দ আবেদ আলি, ডাসার উপজেলার অন্তর্ভুক্ত বালিগ্রাম ইউনিয়নের খুব পরিচিত নাম ছিলেন উনি। হাজী সাহেব যেহুতু, পাঞ্জাবী-টুপি পড়ে সে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায়, মানুষজনের সালাম-সম্মান সবই পায় আমাদের পীরে কামেল আবেদ সাহেব। সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নামাজ পড়া ছবি অহরহ, এবং সিংহাংশ তার নিজেরই তুলা। আসেন তার ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে জানা যাক। তার নিজের নামে ৪৮ কোটি টাকা এবং তার চাচির নামে ৭৮ কোটি টাকা। এছাড়াও, ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুর, মানিকগঞ্জ, বাড্ডা, কক্সবাজার, পূর্বাচল, বাগেরহাটে তার প্রচুর ফ্ল্যাট এবং জমি রয়েছে। তার পেশা? উনি একজন ড্রাইভার। প্লেনের ড্রাইভার না, গাড়ির ড্রাইভার হচ্ছেন আবেদ আলি সাহেব।

ইসলাম প্রকাশের নামে তার নিজের সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি, মসজিদ-মাদ্রাসায় সে প্রচুর পরিমাণে সে দান-খয়রাত করে এলাকার ক্ষমতা, সাধারণ মানুষের ক্ষমতা উনি হাতে রেখে আসছেন অনেক। তার ছেলে, সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম বাবার নাম প্রচার করে মানুষকে সাহায্য করে তার ভিডিও ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়ে থাকে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, একটা ড্রাইভার হয়ে, আবেদ আলি এরূপ দানবীর কিভাবে হলো? উত্তর হচ্ছে, সে ছিল প্রশ্নফাঁশের জাদুকর। এই প্রশ্নফাঁশের ব্যবসায়ের দ্বারা সে হাতিয়ে নিয়েছে শত-শত কোটি টাকা।

আমি সাধারণত, স্ক্যাম কিংবা আর্থিক চোরাচালিন নিয়ে লিখি না। আজকে লিখার উদ্দেশ্য হল, এই ভদ্রলোক এর চেহারার বিবৃতি চাইলে কিংবা যদি জানতে চান যে ভদ্রলোক দেখতে কেমন, মানুষ বলবে যে, হ্যাঁ সে ভালো লোক, টুপি-পাঞ্জাবি পরেন, হাজী-মুরুব্বি মানুষ, নামাজ-রোজা করেন, প্রচুর দান-খয়রাত করেন, উনার মতন ভালো ব্যাক্তি আর একটা পাওয়া যাবে না এই এলাকায়। কিন্তু, বাস্তবে সে ভণ্ড হলেও, তার এই ধর্মীয় পোশাক এবং ধর্মীয় কার্যকলাপ তাকে ধরা খাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন, এবং এই ধর্মীয় দান-খয়রাত এর মাধ্যমে সে প্রশ্নফাঁশের ব্যবসায় গঠন করে হাতিয়ে নেয় সর্বস্ব, শেষ করে দেয় হাজার-হাজার শিক্ষার্থীর জীবন।

মানুষ অতি সাধারণ, এবং নিরুপায় প্রাণী। একটি বাচ্চা যখন প্রথম এই পৃথিবীতে আসে, তার জ্ঞ্যানের পরিধি কতটুকু থাকে, সে তো কিছুই জানে না। তাকে হাঁটাচলা শিখানোর পরের জিনিসই শিখানো হয়, ধর্ম। যেন সেটা তার করতেই হবে, এবং, সে এটা করতে একরকম বাধ্য। আমরা খবরে যখন দেখি যে কোন ব্যাক্তি অন্য কাউকে ক্ষতি কিংবা খুন করছে, আমরা তাকে দোষ দেয়া শুরু করি, কুৎসা করি, নিন্দা করি। এবং, এটাই করার কথা। কিন্তু, একবার ভাবেন, ভালো-মন্দ না শিখিয়ে, আপনি আপনার সন্তান, আপনার পরিবার কে ধর্ম শিখাচ্ছেন, বলছেন যে ধর্মের জন্য জীবন দিতে পারবেন। যে এসব শিখছে, সে ভাবছে যদি ধর্মের জন্য জীবন দিতে পারি, জীবন নিতেও পারবো। যতক্ষণ পর্যন্ত আমার ধর্মের অবমাননা না হয়, কোন সমস্যা নেই। এসব ই শিখানো হয় বর্তমান সমাজে।

আপনি গত ১০-১৫ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে দেখবেন, যারা এরকম অপরাধ এর সাথে জড়িত, তাদের সবার পরিধান, আচার-আচরণ, কার্যকলাপ একই ধরণের। এরা সবাই বলে, এরা হাজী মানুষ, এরা সবার উপকার করে। কিন্তু, দিন শেষে, যখন প্রকৃত খবর পাওয়া যায় নিউজ পোর্টাল থেকে, তখন এদের বাস্তবচিত্র সামনে আসে। একটা সময় পর্যন্ত মানুষ এসব মনে রাখে, কয়েকদিন পর আবারো রংবেরং এর ধর্মের খেলা দেখা যায়। মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ এবং দেশের সম্পদ। তৃতীয় বিশ্বের দেশের অবনতির কারণ কিংবা প্রশস্ত না হওয়ার কারণ শুধুমাত্র এই ধর্মান্ধতা এবং এর কারণে সৃষ্টিকৃত বাধাসমুহ। দেশ এবং দেশের সম্পদ থাকতে থাকতে, এসব মানুষের দিকে দৃষ্টিপাত তথা সঠিক আগানোর কামনা করছি।

17 Responses

  1. কিছুই বলার নেই। দুঃখ লাগে এই দেশের জন্য

  2. তোদের মত এইসব লোকেরা থাকে দেশের বাইরে আর কান্না করে দেশের জন্য। তোরাই হলি আসল শয়তান

  3. এইসব লেখা লিখে কি লাভ হবে, কিছুই হয়না

  4. নাস্তিক নাইমুল আজ কি লিখছে? তবে লেখাটা ভালোই হয়েছে।

  5. হা হা হা… ক্যাঙ্গারুরু অংশতা ভালো ছিলো। ভালো লাগলো লেখাটা

  6. ভাই আনে বানে দেশের বদনাম করেন। একবার দেশে আসেন দেখবেন ৫৭ ধারায় কয়টা মামলা খান।

  7. তোর নাম আর ঠিকানা দে, দেখ সিদ্দিকের মত তোর চোখও হাওয়া হয়ে যাবে।

  8. মুসলমানদের নিয়ে ব্লগার নাস্তিকরা কেন এতো মাথা ঘামায়।

  9. মুসলমানদের নিয়ে ব্লগাররা কেন এতো মাথা ঘামায়।

  10. সালার ব্লগার নাস্তিকরা হঠাৎ এতো তৎপর হয়ে উঠলো কেন।

  11. সালার ব্লগার নাস্তিকরা হঠাৎ এতো তৎপর হয়ে উঠলো কেন।

  12. ব্লগার নাস্তিকরা মুসলমানদের নিয়ে এতো মাথা ঘামায় কেনো।

  13. মুসলমানদের নিযে যে ব্লগার এইসব খারাপ খারাপ লেখা লেখছেন থাকে কিন্তু যেখানেই পাবে সেখানেই শেষ করে দেব।

  14. রোহিঙ্গাদদের নিয়ে ব্লগারদের এইরকম লেখা মেনে নেওয়া যায় না।ব্লগারদের এইরকম লেখা বন্ধ করতে হবে

  15. আমি এই লেখার সাথে একমত পোষন করছি।

  16. রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্লগারদের এই রকম লেখা বন্ধ করতে হবে অনথায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

  17. শুওরের বাচ্চা ব্লগাররা এইরকম লেখা ব্ন্ধ কর না হলে তোকে আমি শেষ করে দেবও

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *