হুজুরদের ভণ্ডামি ও মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন

দেশে-বিদেশে ধর্ম নামক এক ব্যাবসার প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন হুজুরদের দেখা যায়, যারা নিজেদের কুসংস্কার অন্যদের নিকট পৌছায়। এর মধ্যে, একটি বিষয় আমার নজর কাড়তে মারাত্মক ভাবে সক্ষম হয়। আপনাদের ধর্মের মান্যগণ্য একজন হুজুর এর কথায় আসি। তিনি বলেছেন যে, “সমকামিতা একটি বিকৃত যৌনাচার। ইসলাম এটাকে সুস্পষ্ট হারাম ঘোষণা করেছে”। আচ্ছা, তা না হয় মানলাম। কিন্তু, জনগণের নিকট এরকম একটি উক্তি দেয়ার পর, কিভাবে আপনারা নিজেদের মাদ্রাসায় একটি শিশু বাচ্চা কে ধর্ষণ করেন আপনারা?

কিসে প্রশ্ন তুলবো আমি? মানসিকতায়? নাকি ধর্মে? নাকি আপনাদের প্রিয় বিষয়, লিঙ্গে? এই ভণ্ডামির কি কোন শেষ নেই? এইট, কিছুদিন আগে খবর দেখলাম। গোপালগঞ্জে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতেন সে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। একইভাবে, তার কিছুদিন আগে শুনতে পাই রক্তে ভেজা ১০ বছরের এক বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পৌছায়। এর নাম ধর্ম? এর নাম শিক্ষক? এই শিক্ষা দেয়া হচ্ছে মাদ্রাসায় বা ধর্ম প্রতিষ্ঠানে?

প্রতি বছর, গড়ে ৫২ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দ্বারা ধর্ষিত হয়। আমার ধারনা, সংখ্যাটা এর তুলনায় অনেক বেশি, কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে এটি প্রকাশ করতে ভয় পায় ধর্ষিত সন্তানের পিতামাতা। ভয় কেনই বা পাবে না। হুজুরসমাজ ধর্মের নামে সবার উপর হুকুম চালায়, এবং ধর্মের নামে শিশু বাচ্চাদের ধর্ষণ করে বেরায়। কিছু কথা লিখতেও দ্বিধাবোধ হয়, কিন্তু না লিখে উপায় কি? এরা সুধু যে বালিকাদের ধর্ষণ করছে, বিষয়টা ঠিক তা না। বালকেরা সবচেয়ে বেশি এর শিকার। এদের বিভিন্ন উপায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করা হচ্ছে। এই পাষাণ হুজুরদের কাছে একটি শিশুর বয়স কিংবা লিঙ্গ কোনভাবেই ভাবনার বিষয় না। এরা কিভাবে নিজেদের বিকৃত যৌনচাহিদা মিটাবে, সেটি নিয়ে এদের যত চিন্তাভাবনা। আর এরা নাকি বলে সমকামিতা একটি বিকৃত যৌনাচার। মজার একটা পর্যবেক্ষণ করলাম। এদের গড় বয়স ৩৪ থেকে ৪২ এবং এরা বিবাহিত। তাদের ঘরে তাদের বউ রয়েছে। বউ এবং সংসার থাকা অবস্থায়ও, এরা এসব নোংরা কাজে লিপ্ত হয়, এবং পাশাপাশি সে ধর্মের কথা বলে সমাজকে দুর্বল করে, যাতে সমাজের সবাই তাদের সন্তানদের ধর্ষণের জন্য মাদ্রাসায় দিয়ে আসতে পারে। আফসোস!

“সমকামিতা খারাপ, সমকামিতা অপরাধ, সমকামিতার জায়গা নেই, সমকামিতা আমাদের ধর্মে মানা, ইত্যাদি, ইত্যাদি”, আপনারাই এসব বলেন। কিন্তু, ধর্মের নামে এই যে আপনাদের সন্তানেরা এই পাষাণদের নিত্যদিনের ভোগ্যপণ্য, সে বিষয়ে আপনাদের কি বিচার, বা কি মতামত? সমকামী বলেন, উভকামী বলেন, কখনো কি শুনেছেন কোনভাবে এরা অপরাধ করেছে? কারো ক্ষতি করেছে? ধর্ষণ করেছে? করেনি। তারপরও, আপনাদের ভাষায়, এরা সমাজে বসবাস যোগ্য নয়। আর, যাদের আপনারা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে রেখে, আদর করে, লালন পালন করে বড় করে ধর্ষণের জন্য মাদ্রাসায় রেখে আসেন, তারা সমাজে বসবাস যোগ্য? আমি বলবো, অপরাধী শুধু তারাই না, আপনারাও।

অন্যের অধিকার নষ্ট করায় ব্যস্ত না থেকে নিজের সন্তান ও নিজের সুশিক্ষা আহরণের দিকে এগিয়ে জান। একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলুন। যে সমাজে সবার অধিকার এক, এবং সবার নিরাপত্তা যেন সমান হয়। হোক সে শিশু, হোক সে নারী, হোক সে সমকামী, হোক সে উভকামী। যার সিদ্ধান্ত, সে নিজে নিবে। সেখানে আপনার, কিংবা আমার সিদ্ধান্ত বা তার রাস্তা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আমি দেখি না। যদি প্রভাব খাটাতেই চান, আমি বলবো, এই ধর্ম এবং মাদ্রাসার হুজুরদের প্রতি খাটান। যে ধর্মের প্রতিই আপনারা ধাবিত হন না কেন, ধর্মের প্রতি যে বিশ্বাস, সে ধর্মের ন্যায্যতা খুঁজুন। আগে “মানবধর্ম” সম্পর্কে জানুন। এরপর ব্যবসায়িক ধর্মে ডুব দিন। নিজেদের বাঁচান, নিজেদের সন্তানদের বাঁচান।

10 Responses

  1. এইসকল হুজুরের শাস্তি চাই

  2. পুলিশ বাহীনির শাস্তি চাই।vo

  3. অসাধারন একটা লেখা লিখেছেন ভাই।

  4. আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন একটি দেশের আইনশূঙ্কলা বাহীনির বিরুদ্দে কথা বলা হয়। সিদ্দিকুর এর চলে যাওয়ায় আমার খুব খারাপ লেগেছে।কিন্তু এটাতো একটা মাএ ঘটনা।আর তোদের মতো নাস্তিক ব্লগাররা এই ঘটনাকে একটা নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।

  5. ভাই আপনার এই লেখা পড়ে আমার খুব খারাপ লেগেছে।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপনি এই লেখাটি তুলে ধরার জন্য।

  6. এই মাদারচুদ এর বাচ্চা মাদ্রাসা ঘটনা নিয়ে তোমরা কোন খেলায় মেতে উঠেছিস।

  7. এই নাস্তিক এর বাচ্চা ধর্ম আর মাদ্রাসা ঘটনা নিয়ে তোরা দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছিস কেনোও।

  8. দেশকে এই ভাবে দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছে।

  9. তোদের মতো নাস্তিকদের এতো মাথা ব্যাথা কেনোও।

  10. হামলা ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হউক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *