৩৭৭ ধারা সংস্কার কবে হবে?

যখন আপনারা সংস্কার করার কথা বলেন, তখন এই “সংস্কার” বলতে আপনারা কি সংস্কার করেন? রাস্তা? দালান? ব্রিজ? আচ্ছা, সংস্কার বলতে কি শুধু এগুলাই বুঝায়? আইন কিংবা মনুষ্যত্ব সংস্কার করার কথা বলা হয় না কেনো? বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ, ভারত। ২০০৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লী হাইকোর্ট সমকামিতা কে আলিঙ্গন করে স্বীকৃতি দেয় এই মানবাধিকারকে। সেটি ঠিক ২০০৯ সালের জুলাই এ। বাংলাদেশ, এমন একটা দেশ, যে দেশ অবিকল ভারতের সমস্ত কিছু বাস্তবায়ন করে থাকে। শুধু, এই একদিক, আমাদের দেশ, বাস্তবায়ন কেন হয় না?

আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী, নিজের ভালোবাসা সমকামনায় প্রকাশ করা মাত্রই ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী এটি ফৌজদারি অপরাধ। এবং, ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। এই ধারা, এত বছর পরেও, এই ধারার পরিবর্তন হয় নি। ধারা ধারার জায়গায় থাকুক। মনুষ্যত্ব সংস্কার এর বিষয়টা যে বললাম, দেখেন, দেশের আইন অনুযায়ী দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকে, সেটা যতটুকুই হোক না কেন। কিন্তু, আমাদের দেশের মানুষ এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন। এরা আইন নিজেদের হাতে তুলতে প্রস্তুত। যে মুহূর্তে, এরা
টের পায়, যে অমুক ব্যক্তি সমকামী, তখনি তার উপর নেমে আসে ভয়াবহ জুলুম। এবং, আমি একঘরে করে রাখার কথা বলছি না। তার উপর শারীরিক ভাবে তো আঘাত-অত্যাচার চলেই, মানসিক ভাবে তাকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পাঠানো হয়। এবং, তার রাস্তা থাকে দুইটা, হয়তবা তাকে আত্মহত্যা করতে হবে, নতুবা তার জন্য অপেক্ষা করছে নিঃস্রিংশ মৃত্যু। একজন সমকামী নিজের পিতামাতা থেকে শুরু করে, লাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত, সে সমস্ত স্থানে লাঞ্ছিত।

মজার কথাতে আসি। এই যে আমাদের দেশের যে আইন, যে ৩৭৭ ধারা, কয়জন কে দেখেছেন এই ধারা অনুযায়ী তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছে? কখনও পত্রিকা বা খবরে দেখেছেন? শুনেছেন? এগুলা কখনও পৃথিবীর অন্যদের দৃষ্টিতে আনা হয় না। তারমানে কি দেশে সমকামী নেই? নিজ লিঙ্গের প্রতি ভালবাসা নেই? আছে, সমকামীও আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতন জায়গায় এরা প্রকাশ হওয়ার আগেই এদের গুম করে দেয়া হয়, এদের চিহ্ন মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়, সেটা যে সরকার ব্যবস্থাই থাকুক না কেন।
যার কারণে, দেশের মানুষ তার সত্য ভালবাসা সত্য ইচ্ছা প্রকাশে সে ভয় পায়। সে কিরকম মানুষ, সে কি চায় না চায়, তার নিজের ইচ্ছা, তার নিজের ভালবাসা, তার নিজের শান্তি, সে ভুলে যাওয়া শুরু করে। পরবর্তীতে হয় তাকে দিতে হয় তার জীবন, নাহলে সমাজের সাথে মিশে থাকার জন্য তার এ মানসিক চাপের পথ বেছে নিতে হয়। এর নামই কি মানবাধিকার? এর নামই কি স্বাধীনতা? এবং এভাবেই কি চলতে থাকবে?

ধর্ম-বর্ণ-পেশা বৈষম্যের শিকার যারা, তারা তো বেঁচে থাকে, অন্তত তার পরিবার তার পাশে থাকে। যে মা ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে তাকে পৃথিবীতে আনে, সে কিভাবে তার সন্তানকে সমকামী হওয়ার কারণে তাকে অনাথের মতন তাকে ছেড়ে দেয়? মানুষ বলে পরিচয় দিতে একটুও লজ্জা লাগে না? একটি মানুষ হিসেবে, তাকে একটু জিজ্ঞাসা করুন, যে সে ভালো আছে কিনা, তার জীবনে কি ঘটছে সেটা একটু জানার চেষ্টা করুন। তার জীবনটাতে নিজের থেকে সামান্য একটু ভালবাসা দিন। দিন শেষ এ সে আপনার আমার মতনই, সাধারণ একজন মানুষ। দেশের সংস্কার করার আগে, নিজের মানবতার সংস্কারটা করে নেবেন। দেশের অগ্রগতি নিজেই দেখবেন। কিছু পারেন আর না পারেন, দয়া করে এমন কিছু করবেন না, যাতে তার ক্ষতি হয়। আইন আনবেন না এ ব্যাপারে, সে চোর না। তাকে সাহায্য না করার সামর্থ্য না থাকলেও হবে, তাকে তার মতন বাঁচতে দিন, তার মৃত্যুর কারণ হবেন না।

13 Responses

  1. ইসলামির দল গুল বাংলাদেশে না থাকলে এই বাংলাদেশ আজকে কত সুন্দর হত।

  2. ইসলামি স্বৈরাচার বন্ধ করতে আপনার সাথে আমি ভাই।

  3. মৌলবাদী শাসন শেষ হয়ে যাক আপনার লেখায় এই কামনা রইল।

  4. আপনার মত মানুষদের সাথে দেখা হওয়া ভাগ্যর ব্যাপার।

  5. তোদের মত ব্লাগারদের কে এই দেশে আমরা বাঁচতে দেইনি। তুই খতম।

  6. সবাইকে একে একে মারা হবে। তুই সমকামী হারামি কুত্তার বাচ্চা।

  7. দেশে আসবই যেইদিন ওইদিন আমি তোরে কোপাই কোপাই মারব এয়ারপোর্ট এ ।

  8. তুই সমকামী জারজ।তুই ইসলামের শত্রু। তুই দেশের শত্রু।দেশদ্রোহী তুই।

  9. নাস্তিক ব্লগারদের যেভাবে জবাই করা হয়েছে তোকেও জবাই করে মারা হবে ইনশাআল্লাহ।

  10. ভাই দেশে আসবেন কবে? আসলে অবশ্যই দেখা হবে।

  11. ইসলামিস্টদের নয়। আপনাদের মত কিছু নাস্তিকদের যুক্তিই আসলে হাস্যকর। আপনারা ধর্ম পরায়ন একটা জাতিকে নিয়ে দিনের পর দিন হাস্য রস্তাত্নক সব লেখালেখি করবেন, ব্যাঙ্গ করবেন আর আশা করবেন সবাই আপনাদের কে সাধুবাদ জানাবে, সেটি কিন্তু আসলে হবে না। আপনারা আসলে আল্লাহর মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া মুনাফেক।

  12. হে কাফিরের বাচ্চা, কোপ খাবার জন্য তৈরী হয়ে নে তুই। তোর বুক কে রক্তে রক্তে ভাসিয়ে নেয়াটাই আমাদের জিহাদ

  13. বাংলাদেশ ইসলামের শাসনে চলে গেলে এই দেশ আর বাঁচবে না ভাই। আপনি লেখা থামাবেন না। যতই চাপ আসুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *