কোরান-হাদিস নিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে আলোচনার শেষ নেই। কোন আয়াতগুলো আসল আর কোনটা নকল তা খুঁজে বের করতে তারা সব সময় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বিতর্ক অনেক আগেই শেষ হয়েছে ইসলামী দেশগুলোতে।
ঐসব ইসলামী দেশের আলেমগণ একত্রিত হয়ে বিতর্কের পর সবাই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, এবং ফলাফল হল “শরিয়া আইন”, যা তারা একটি পৃথক গ্রন্থ হিসাবে সম্পূর্ণ করেছেন এবং এই গ্রন্থের আইন সর্বসম্মতিক্রমে সম্মত হয়েছে, সেখানে বিতর্ক করার সুযোগ নেই। যেসব দেশে বেশি ইসলাম, সেসব দেশে এসব আইন কঠোরভাবে মানা হয়। বর্তমানে, আইএসআইএস-এর মতো ইসলামের শিষ্যরা এই আইনটি 100% বাস্তবায়নের প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।
কিন্তু আমাদের দেশের মুসলমানরা এখনও বিভ্রান্ত, তারা এখনও তাদের জন্ম নিয়ে বিভ্রান্ত, তারা আসলে আরব বলয়ে জন্মেছিল নাকি কাফেরদের জাদুতে। আর এই বিভ্রান্তির কারণে তারা ইসলামকে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে।
তারা এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ফতোয়া বহন করে, ভুল সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করে।
উদাহরণ স্বরূপ, কয়েকদিন আগে আমি একটি খবরে দেখেছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তার একজন মহিলা ছাত্রকে মুখের আবরণ খুলতে বলছেন যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে ওই ছাত্রীটি আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কিনা এবং এতে বিভ্রান্ত মুসলিমরা মনে করে যে বোরখা। অবমাননা করা হয়েছে এবং শরিয়া আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। কিন্তু তাদের শরীয়া আইন অনুযায়ী, ইসলামের সাথে সম্পর্কিত কিছু কাজ না করে নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ এই বিষয়টিকে মুসলিমরা এড়িয়ে যায়। অর্থাৎ, যেখানে আপনার স্বার্থ জড়িত নেই সেখানে ইসলাম প্রয়োগ করার দরকার নেই, শুধুমাত্র আপনার স্বার্থ জড়িত যেখানে প্রযোজ্য। এ কারণে আমি মনে করি, স্বয়ং আল্লাহও জানেন না পরস্পরবিরোধী ইসলাম বা মুসলমানদের ভবিষ্যত কী। আর এজন্যই তাদের বলা হয় দ্বিমুখী!
14 Responses
ভালোই লাগলো লেখাটা। চিন্তার ব্যাপার আছে
একবার দেশে আয়। আমরা তৌহিদি জনতা শফি হুজুরের নেতৃত্বে তোদের দেখে নেব
বিরাট লেখক হইসস তুই।এইজন্য তোরে আর তোর পরিবাররে একটা সংবর্ধনা দিতে চাই। দেশে আয় তুই, তোরে আর তোর ফ্যামিলিরে চাপাতির কোপে কোপে সংবর্ধনা দিব।
কাফেরের বাচ্চা, তোরে আর তোর বাপরে কুচি কুচি কইরা কুত্তারে খাওয়ামু।
অনেকদিনধরেই উনাকে বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকাতে। তাহলে এটাই উদ্দেশ্য ছিল !
যাক। অবশেষে এই ঢাক-ঢাক গুড়- গুড়ের রহস্য ভেদ হোল। এই তাহলে ব্যাপার ! উনি কিন্তু প্রথমে এটা অস্বীকার করেছিলেন।
ভালো করেছে। এই দেশে থেকে কি পাবে?
এইসব উগ্র মৌলবাদীদের মুখের উপর একেবারে চপেটাঘাত করেছেন ভাই। যদিও কোনো বোধোদয় হবে না এদের তবুও সান্ত্বনা, কেউ একজন তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।প্রতিবাদ করছে।
কিরে খ্রিষ্টানের বাচ্চা, ইসলাম ধর্ম অবমাননা করলে তোর খুব ভালো লাগে নারে ? দেশে আয় তুই, তোর কল্লা কাইটা তোদের চার্চে ঝুলাইয়া দিমু।
কিসের সাথে কি মিলাচ্ছেন? ধর্ম খুবই সেন্সিটিভ একটা বিষয়।ধর্ম নিয়ে আজেবাজে কথা শুনলে সবারই খারাপ লাগে। তবে এ নিয়ে নিরীহ মানুষের উপর আক্রমণ করাটাও সমর্থন করি না কোনোভাবেই।
অপেক্ষা কর,তোর বাড়িতেও আগুন দিব। একটাও বিধর্মী রাখব না এই দেশে।
চমৎকার পর্যবেক্ষন। ভালো লাগলো লেখাটি।
আপনার লেখা পড়েও কিন্তু মনে হলো যে আপনি মুসলিমদের প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণ করেন। নইলে শুধুমাত্র “মুসলমানদের” মন রিডিং না করে মানুষের মন রিডিং করতেন।
বাহ, একজন মুসলিম বিধর্মীদের প্রতি কতটা ঘৃণা ধারণ করে তাতো আপনি মুসলমান না হয়েই জেনে গিয়েছেন !! এরকম মিথ্যাচার আর মনগড়া কথা বলে কি লাভ আপনাদের? কেন বিভেদ সৃষ্টি করতে চান সাধারণ মানুষের মনে? দেশটা তো আপনারও। নাকি ভুলে গেছেন সে কথা?